সুন্নতে খতনার আনুষ্ঠানিকতায় অনেকেই খরচ করেন লক্ষ লক্ষ টাকা। অর্থ বা উপহার প্রাপ্তির প্রত্যাশাও করেন। অনুষ্ঠান শেষে লভ-ক্ষতির হিসাবও কষেন। তবে সমাজে প্রচলিত এমন অনৈসলামিক এসব নিয়মের উর্ধে গিয়ে ব্যতিক্রম দেখালেন পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান মোল্লা।
ছেলের সুন্নতে খতনায় খাওয়ালেন ছয়শতাধিক মানুষ। বিনিময়ে নিননি কোন অর্থ বা উপহার।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের কাছারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এই আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ছেলের চাচা এহসানুল হক। এ অনুষ্ঠানে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা আলাদা ভাবে আপ্যায়ন করানো হয়।
ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, এমন আয়োজন করতে পেরে আমি অনিন্দিত। কারন বর্তমানে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান গুলো হয়ে উঠছে ব্যবসায়ের মতো অর্থ উপার্জনের মধ্যম ও অনুষ্ঠানে নাচ গানের মাধ্যমে চলে অনৈসলামিক কার্যক্রম। অথচ ইসলামে সুন্নাত খতনায় এসবের কিছুই নেই। রয়েছে সুন্দর এক সংস্কৃতি। সমাজে অনেকেই আমাদের দিকে চেয়ে থাকে সুতরাং যদি ভালো কিছু করি তাহলে আশা করি অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। তাই ইসলামি সংস্কৃতি প্রমোট করতেই আমাদের এ আয়োজন।
তিনি আরো বলেন, গরীব থেকে ধনী সকল শ্রেণির মানুষেরই মিলন স্থলে পরিনত হয়েছিলো অনুষ্ঠানটি। কোন ভেদাভেদ রাখিনি সকল শ্রেণির মানুষেকেই দাওয়াত করেছি। ছয় শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজন ছিলো। আমার সামর্থ্য থাকলে আরো বড় করে করতাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় সবাই এসেছিলো। যেহুতু ইসলামে সুন্নতে খতনার আপ্যায়নে অর্থ বা উপহার নেওয়ার কোন বিধান নেই তাই দাওয়াত করার সময়ই সবাইকে এসব আনতে না করেছিলাম।
উপি সদস্য বলেন, সবাইকে বলবো আপনাদের সমর্থ থাকলে যতটুকুই করবেন ইসলামিক নিয়মের মধ্যে করবেন। আমার ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশি, ও যেন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
ছেলের চাচা এহসানুল হক বলেন, আমার মেম্বর ভাই সব সময়ই গ্রামের মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার ইচ্ছা ছিলো ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী ছেলের সুন্নতে খতনা করবে। কোন ধরনের অর্থ নিবে না। সেই হিসাবে আমরা পরিবার থেকে সবাই মিলে আজকের এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছি।
অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানগন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর মাঝে উপস্থিত আলেমগন এমন আয়োজনের প্রসংশা করে ছেলের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এলাকাবাসীও তাদের এমন আয়োজনে অতন্ত্য খুশি। তারাও চান তাদের সন্তানদের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান এভাবে করাতে।
উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কাছারপুর গ্রামের মো: মিজানুর রহমান মোল্লা ও শামীমা আক্তার প্রিয়া দম্পতির প্রথম সন্তান রুসানুর রহমান ওয়ালীদ। তার সুন্নতে খতনা ঘিরেই এ আয়োজন ছিলো। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
ছেলের সুন্নতে খতনায় খাওয়ালেন ছয়শতাধিক মানুষ। বিনিময়ে নিননি কোন অর্থ বা উপহার।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ইউনিয়নের কাছারপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে এই আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ছেলের চাচা এহসানুল হক। এ অনুষ্ঠানে মহিলা ও পুরুষদের আলাদা আলাদা ভাবে আপ্যায়ন করানো হয়।
ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, এমন আয়োজন করতে পেরে আমি অনিন্দিত। কারন বর্তমানে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান গুলো হয়ে উঠছে ব্যবসায়ের মতো অর্থ উপার্জনের মধ্যম ও অনুষ্ঠানে নাচ গানের মাধ্যমে চলে অনৈসলামিক কার্যক্রম। অথচ ইসলামে সুন্নাত খতনায় এসবের কিছুই নেই। রয়েছে সুন্দর এক সংস্কৃতি। সমাজে অনেকেই আমাদের দিকে চেয়ে থাকে সুতরাং যদি ভালো কিছু করি তাহলে আশা করি অন্যদের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। তাই ইসলামি সংস্কৃতি প্রমোট করতেই আমাদের এ আয়োজন।
তিনি আরো বলেন, গরীব থেকে ধনী সকল শ্রেণির মানুষেরই মিলন স্থলে পরিনত হয়েছিলো অনুষ্ঠানটি। কোন ভেদাভেদ রাখিনি সকল শ্রেণির মানুষেকেই দাওয়াত করেছি। ছয় শতাধিক মানুষের খাবার আয়োজন ছিলো। আমার সামর্থ্য থাকলে আরো বড় করে করতাম। আলহামদুলিল্লাহ, প্রায় সবাই এসেছিলো। যেহুতু ইসলামে সুন্নতে খতনার আপ্যায়নে অর্থ বা উপহার নেওয়ার কোন বিধান নেই তাই দাওয়াত করার সময়ই সবাইকে এসব আনতে না করেছিলাম।
উপি সদস্য বলেন, সবাইকে বলবো আপনাদের সমর্থ থাকলে যতটুকুই করবেন ইসলামিক নিয়মের মধ্যে করবেন। আমার ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশি, ও যেন ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠতে পারে।
ছেলের চাচা এহসানুল হক বলেন, আমার মেম্বর ভাই সব সময়ই গ্রামের মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তার ইচ্ছা ছিলো ইসলামিক নিয়ম অনুযায়ী ছেলের সুন্নতে খতনা করবে। কোন ধরনের অর্থ নিবে না। সেই হিসাবে আমরা পরিবার থেকে সবাই মিলে আজকের এ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছি।
অনুষ্ঠানে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানগন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এর মাঝে উপস্থিত আলেমগন এমন আয়োজনের প্রসংশা করে ছেলের মঙ্গল কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন।
এলাকাবাসীও তাদের এমন আয়োজনে অতন্ত্য খুশি। তারাও চান তাদের সন্তানদের সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠান এভাবে করাতে।
উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলার আতাইকুলা থানার কাছারপুর গ্রামের মো: মিজানুর রহমান মোল্লা ও শামীমা আক্তার প্রিয়া দম্পতির প্রথম সন্তান রুসানুর রহমান ওয়ালীদ। তার সুন্নতে খতনা ঘিরেই এ আয়োজন ছিলো। সে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।